1-830x511

অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা? জেনে নিন দ্রুত ঘুমানোর দারুণ কিছু কৌশল!

ছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে করতে পুরো রাত পাড়! কিন্তু তাও ঘুমের দেখা নেই। অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা তে যারা ভুগছেন, তারা জানেন এটি কতটা কষ্টদায়ক! একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। একদিন রাতে ঠিকমতো না ঘুমালে পরেরদিন ক্লান্ত লাগে, প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়! ভালো ঘুম পরের দিন কাজের শক্তি যোগায়। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরকে ন্যাচারালি হিলিং ও রিপেয়ার করে। সাধারণত ঘুমের সময় নিউরোট্রান্সমিটার ও হরমোন নিঃসৃত হয়, যা সারা দিনের জন্য শরীরকে সতেজ রাখে।

কিন্তু অনেকে আছেন, যাদের রাতে ঘুম হয় না। একটু ঘুমানোর জন্য তারা ভরসা করেন ঘুমের ওষুধের উপর। ঘুমের ওষুধ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তা আমাদের সবারই জানা। একটানা বেশিদিন ওষুধ খেলে অনেকসময় সেই ওষুধ আর কাজও করে না। রাতে ঘুম না আসলে কিংবা বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াকে বলা হয় ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ। যার ফলে দিনের বেলা ঘুমোনো, সারাদিন ঝিমুনি ভাব, কাজে মনোযোগ না দিতে পারা, সারাদিন মেজাজ খিটখিটে ও বিষণ্ণ হয়ে থাকার মত সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কেন হয় এই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা?

কারণ

  • স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা
  • ডিপ্রেশন
  • বিভিন্ন আওয়াজ
  • আনকমফোর্টেবল বেড
  • মদ্যপানের অভ্যাস
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইন
  • শিফট ওয়ার্ক
অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা

কিছু কাজের মাধ্যমে এই ইনসমনিয়া দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো।

অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা দূর করার উপায়

১) মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন

মেডিটেশন শরীর ও মনের অনেক উপকার করে থাকে, তার মধ্যে অনিদ্রা দূর করা অন্যতম। এটি আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুস্ট করে। ২০১১ সালে স্টাডি ট্রাসটেড সোর্স এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন ইনসমনিয়া দূর করতে এবং ঘুমের প্যার্টানে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন করার প্র্যাকটিস করুন। কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

২) ল্যাভেন্ডার অয়েল থেরাপি

অনেক বছর ধরেই অ্যারোমাথেরাপি বেশ জনপ্রিয়। ল্যাভেন্ডার অয়েল মুড ইম্প্রুভ করতে, মাথা ব্যথা কমাতে এবং ভালো ঘুমের সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বালিশে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে রাখতে পারেন। সামান্য অ্যাসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ঘাড়ে, পিঠে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।

৩) ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা

আমাদের শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম নামক একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা আছে। একে দেহঘড়িও বলা হয়। এটি শরীরকে দিনের বেলা সক্রিয় রাখে এবং রাতের বেলা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার ফলে দেহঘড়িতে একটি রুটিন তৈরি হয়। এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঘুমের সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

৪) ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার

ম্যাগনেসিয়াম মূলত এক ধরনের খনিজ পদার্থ। এটি পেশীকে শিথিল করে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এটি ভালো ঘুমের সহায়ক। ডার্ক চকোলেট, বাদাম, অ্যাভোকাডো এগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম আছে। ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে এই খাবারগুলো খেতে পারেন। সফট ড্রিংকস, ক্যাফেইন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৫) মেলাটোনিনযুক্ত খাবার

আমাদের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি হরমোন যার নাম ‘মেলাটোনিন’। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে মেলাটোনিন প্রাকৃতিক উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়। ডিম, দুধ, মাছ, কলা, বাদাম, মাশরুম, আখরোট এগুলো মেলাটোনিন বৃদ্ধি করতে হেল্প করে। দুশ্চিন্তা না করা, স্ক্রিন টাইম লিমিটেড রাখা- এগুলোও আপনাকে সাহায্য করবে ঘুমের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ঠিক রাখতে।

৬) ব্যায়াম করা

ব্যায়াম শুধু যে শরীর ঠিক রাখে তা নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে প্রশান্তির ঘুমও দিবে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনসমনিয়া সমস্যাগ্রস্ত কিছু মানুষকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো হয়। এসময় তাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ৩ ঘন্টা আগে ব্যায়াম পরিহার করুন।

৭) ৪-৭-৮ পদ্ধতি

ইনসমোনিয়া দূর করতে দারুণ একটি পদ্ধতি হলো ৪-৭-৮। এটি যোগব্যায়াম থেকে অনুপ্রাণিত এক ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি। এই ব্যায়াম স্নায়ুতন্ত্রকে আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে যায় এবং দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে। প্রথমেই জিভকে সবচেয়ে সামনের দিকে ওপরের দাঁতের পেছনে নিয়ে যেতে হবে। এরপর ‘হুশ’ শব্দ করে বড় একটি শ্বাস ছাড়তে হবে। ঠোঁট দুটো বন্ধ করে ৪ পর্যন্ত গুনে আবার শ্বাস গ্রহণ করতে হবে। তারপর শ্বাস আটকে রেখে মনে মনে ৭ পর্যন্ত গুনতে হবে এবং এ পদ্ধতির চূড়ান্ত পর্যায়ে আবারও একটি ‘হুশ’ শব্দে বড় একটি শ্বাস ছাড়তে হবে। এ সময় মনে মনে ৮ পর্যন্ত গুনে যেতে হবে। এই পদ্ধতিটি মোট ৩ বার পুনরাবৃত্তি করতে হবে।

এই কাজগুলোর সাথে সাথে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন। নিয়মিত এই নিয়মগুলো মেনে চললে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাহলে আজ এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন।

Youtube-Thumbnail-2-830x511

দু’টি ট্রেন্ডি হেয়ার স্টাইলস

এই ঈদে ট্রাই করুন ডিফারেন্ট হেয়ার স্টাইলস, যা আপনার লুককে করবে আরও গর্জিয়াস। চলুন দেখে নেই দু’টি ট্রেন্ডি হেয়ার স্টাইলসের টিউটোরিয়াল…..

2-10-830x511

চুলের যত্নেও কি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট প্রয়োজন?

লের যত্নে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট” – শুনে নিশ্চয়ই একটু অবাক লাগছে, তাই না? কারণ সাধারণত ‘অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ এই টার্মটি ব্যবহার হয় ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে। তবে ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও রয়েছে কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট যা আপনার চুলকে আরো সুন্দর ও শাইনি করে তুলতে সাহায্য করবে। আসুন আজকের ফিচারে জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কার্যকরী কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট সম্পর্কে।

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট কী?

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বলতে সেই সকল ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোকে বোঝানো হয় যেগুলো বায়োলজিক্যালি অ্যাকটিভ হয়ে থাকে। এগুলো একেকটি পারসেন্টেজে ক্লেনজার, ক্রিম, সিরাম ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। নিজের কনসার্ন বুঝে সঠিক পারসেন্টেজে এ ধরনের ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো ব্যবহার করা হলে খুব দ্রুতই ভিজিবল রেজাল্ট পাওয়া যায়। কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের নাম হলো রেটিনল, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড ইত্যাদি।

চুলের জন্য কোন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করবেন?

চুলের যত্নে কার্যকরী অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট কোনগুলো?

চুলের যত্নে ব্যবহৃত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো মুলত স্ক্যাল্পেই বেশি ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশি কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট চুলে অ্যাপ্লাই করার জন্যও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ করে থাকেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে আপনারা কোন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ল্যাকটিক অ্যাসিড

আমাদের স্ক্যাল্প ভালো রাখতে সবসময়ই স্ক্যাল্পকে এক্সফোলিয়েট করা প্রয়োজন। সঠিকভাবে এক্সফোলিয়েট না করলে স্ক্যাল্পে ডেড স্কিন সেলস জমে গিয়ে  খুশকি, চুলকানি, র‍্যাশ ইত্যাদি দেখা যায়। এর ফলে চুলের গোড়া যেমন পরিষ্কার থাকে না, তেমনি হেয়ার গ্রোথও কিন্তু বাধাগ্রস্থ হয়। তাই সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েট করতে হবে, আর এই এক্সফোলিয়েশন করতে সাহায্য করে কিছু প্ল্যান্ট বেইজড অ্যাসিড। এই অ্যাসিডগুলোর মধ্যে প্রথমেই যে নামটি আসে তা হলো ল্যাকটিক অ্যাসিড। ল্যাকটিক অ্যাসিড মূলত আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের একটি ফর্ম, যা সুগারকেন বা আখ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি একটি কার্যকরী এক্সফোলিয়েটর যা স্ক্যাল্প ডিপলি ক্লিন করতে সাহায্য করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড স্ক্যাল্পে দ্রুত নতুন সেল গঠন করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, স্ক্যাল্পের কোলাজেন প্রোডাকশন করে চুল হেলদি করে তুলতেও এটি সাহায্য করে থাকে।

স্যালিসাইলিক অ্যাসিড

স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আরেকটি অ্যামেজিং এক্সফোলিয়েটর। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের একটি ফর্ম। এটি একটি অয়েল স্যলুবল অ্যাসিড যা খুব সহজেই স্ক্যাল্পের ডেড সেলসগুলো রিমুভ করতে পারে এবং হেয়ার ফলিকলে পেনিট্রেট করতে পারে। এটি স্ক্যাল্প একনে, ইরিটেশন, ব্যাকটেরিয়া, স্ক্যাল্প সোরিয়াসিস, খুশকি ইত্যাদি দূর করতে সক্ষম।

চুলের যত্নে রেটিনল কেন ব্যবহার করবেন?
রেটিনল( ভিটামিন এ)

রেটিনল ত্বকের যত্নে খুবই পরিচিত একটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। অ্যান্টি এজিং ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত হলেও স্ক্যাল্প ও চুলের জন্যেও এটি বেশ কার্যকর। এটি স্ক্যাল্পে নতুন সেল তৈরি করতে সাহায্য করে। রেটিনল স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন করে বলে অন্যান্য অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট স্ক্যাল্পে সহজে পেনিট্রেট করতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করেছেন যে রেটিনল চুলের ডেনসিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

পেপটাইড

পেপটাইড চুলের জন্য খুবই কার্যকরী একটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। এটি মূলত অ্যামাইনো অ্যাসিডের একটি ধরন যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। পেপটাইডের মলিকুলার সাইজ খুব ছোট, যার কারণে এটি চুল ও স্ক্যাল্পে সহজেই পেনিট্রেট করতে পারে। পেপটাইড চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি চুলের ভেংগে পড়া রোধ করে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করে এবং চুলের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে। তাই হেয়ার কেয়ারে পেপটাইড সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট রাখার চেষ্টা করুন।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি, যেগুলো চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। এটি এমন একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট যা ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ ও পরিবেশ দূষণ থেকে সুরক্ষা দেয় ত্বক ও চুল উভয়কেই। এছাড়াও এটি ইউভি ড্যামেজ থেকেও চুলকে রক্ষা করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যার ফলে চুল ও স্ক্যাল্পের এজিং প্রসেস স্লো ডাউন হয়ে যায়। এছাড়াও অ্যালোপেশিয়ার মতো সমস্যার সমাধান দিতেও এটি সাহায্য করে। তাই চুল ও স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট হেয়ার কেয়ার রুটিনে যুক্ত করতে হবে।

টি ট্রি অয়েল কিন্তু চুলের জন্যেও বেশ ভালো
টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল স্ক্যাল্পের ইনফেকশন, ইচিং, র‍্যাশ ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পে সুদিং ইফেক্ট দেয়। এই অয়েল স্ক্যাল্পকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়, স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে এবং চুলের স্ট্র‍্যান্ডেও একটা ফ্রেশনেস বজায় রাখে। যাদের স্ক্যাল্প সেনসিটিভ কিংবা স্ক্যাল্পে একনে, র‍্যাশ, খুশকি ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে, তারা টি ট্রি অয়েল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন।

এটুকুই ছিলো চুলের যত্নে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট নিয়ে আজকের আলোচনা। আশা করছি আপনারা বুঝতে পারছেন, ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও যদি প্রয়োজন বুঝে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট অ্যাড করা যায়, তাহলে খুব সহজেই চুলকে আরো হেলদি করে তোলা যায়। যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

120-830x511

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ? যে বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি

শুর ডায়াপার র‍্যাশ প্রতিরোধে করণীয় কী, তা নিয়ে আজ বিস্তারিত জানাবেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: তাজরিনা রহমান জেনি।

সবাই কেমন আছেন? আজ খুব কমন একটি বিষয় নিয়ে লিখছি যেটা নিয়ে মায়েদের অনেক প্রশ্ন থাকে। মায়েরা এখন জন্মের পর থেকেই ডায়াপার পরিয়ে রাখেন বাচ্চাকে। ডায়াপার ব্যবহারের কারণে কোনো কোনো শিশুর একেবারেই সমস্যা হয় না। আবার অনেকেরই র‍্যাশ ওঠে, ত্বক লালচে হয়ে যায়। সবার ত্বক এক রকম নয়। কারো কারো ত্বক সেনসিটিভ থাকে। যাদের ত্বক সেনসিটিভ, তাদের ডায়াপার র‍্যাশ বেশি হয়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র‍্যাশ হয়েছে। নিয়মিত শিশুর এই এরিয়া পরিষ্কার করা হলে ৩/৪ দিনের মাঝেই র‍্যাশ দূর হয়ে যায়। তবে যদি এরকম হয় র‍্যাশের স্থানে সংক্রমণ, ক্ষত, পুঁজ দেখা যায় এবং দেহে জ্বর থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামশ নিন।

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

১) উচ্চ শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং আরামদায়ক ডায়াপার ব্যবহার করুন যা ওভারফ্লো বা লিকেজ হতে দেবে না এবং বাচ্চার র‍্যাশ হবার প্রবণতা কমাবে।

২) প্রতিবার ডায়াপার পরিবর্তন করে নতুন ডায়াপার পরানোর আগে শরীরের সে অংশটি মুছে নিন।

৩) পেট্রোলিয়াম জেলি, পেট্রোলিয়াম অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করুন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন।

৪) সঠিক সাইজের ডায়াপার ব্যবহার করুন যাতে বাচ্চার শরীরে অনেক টাইট হয়ে লেগে না থাকে।

৫) র‍্যাশ থাকা অবস্থায় শিশুকে ডায়াপার ছাড়াই ঘুমাতে দিন।

৬) যে খাবারগুলো খেলে আপনার শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো ওকে খাওয়াবেন না। কারণ ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়লে ডায়াপার র‍্যাশ হবার প্রবণতা বেড়ে যায়।

বাড়তি কিছু টিপস

১) ৬-৮ ঘন্টার মাঝে ডায়াপার পাল্টানো উচিত। বাচ্চা যদি পটি করে, তাহলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন করে দিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে সময় কোনো ফ্যাক্টর নয়।

২) টাইট ডায়াপার পরানোর জন্য যদি আপনার শিশুর পায়ের ও কোমরের আশেপাশে দাগ দেখতে পান, তাহলে পরের বার একটু ঢিলেঢালা ডায়পার পরাতে হবে।

৩) শিশুর ডায়াপার পরানোর জায়গায়, পায়ে ও কোমরে যদি ফুসকুড়ি দেখতে পান, তাহলে যে ব্র্যান্ডের ডায়াপারটি পরাচ্ছেন তা বদলে ফেলুন।

৪) শিশুর নাভির নাড়ীটি যদি এখনও পরে না যেয়ে থাকে তাহলে সেই স্থানটি শুকনো রাখতে ডায়াপারের কোমরের কাছের অংশটি ভাজঁ করে রাখুন। নাড়ী পরে যাবার কিছুদিন পর র্পযন্ত এমনটি চালিয়ে যান।

৫) শিশুকে সবসময় সামনে থেকে পেছনদিকে মোছাতে হয় (কখনই পেছন থেকে সামনের দিকে মোছাবেন না বিশেষ করে কন্যা শিশুর ক্ষেত্রে, অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে যা ইউরিনারি ইনফেকশন ঘটাতে পারে )

৬) আপনার শিশুর পায়ের গোড়ালি ধরে উপরে দিকটি ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তার হাঁটু ও নিতম্বের ভাঁজগুলোও পরিষ্কার করতে হবে।

৭) জীবাণু যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য শিশুর ডায়াপার বদলাবার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

কোন বয়স থেকে শিশুকে ডায়াপার পরানো যাবে?

জন্মের পর থেকেই দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে সঠিক সাইজের আরামদায়ক ডায়াপার বেছে নিন। কিন্তু রুমের হিউমিডিটি ও তাপমাত্রা খেয়াল করুন। কারণ গরম পরলে র‍্যাশ বেশি হওয়ার চান্স থাকে।

এতে কোমর সরু হতে পারে কি?

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। অতিরিক্ত টাইট ডায়াপার সব সময় পরালে হতে পারে, কিন্তু গবেষণা চলছে এই বিষয়ে।

তাহলে আজ আমরা শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানলাম। আজ এইটুকুই, সবাই ভালো থাকবেন।

caramel-kheer

অল্প উপকরণ দিয়ে ঈদে বানিয়ে ফেলুন ক্যারামেল ক্ষীর

দেখতে দেখতে ঈদ প্রায় চলেই এসেছে। ঈদে প্রিয়জনদের জন্য একটু স্পেশাল খাবারের আয়োজন করতেই হয়। ক্ষীর এমন একটি ডেজার্ট যেটি ছাড়া আমাদের ঈদ একদম একদমই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। স্বাদে ভিন্নতা আনতে এবারের ঈদে ট্রাই করে দেখতে পারেন ক্যারামেল ক্ষীর, যেটি বানানো বেশ সহজ আবার খেতেও দারুণ সুস্বাদু।

প্রস্তুত প্রণালী

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • চিনিগুড়া চাল- ১/৪ কাপ
  • তরল দুধ- ১ লিটার
  • চিনি- ১/২ কাপ
  • ঘি- ১ টেবিল চামচ
  • কাজুবাদাম- ১০-১২টি
  • কিশমিশ-২ টেবিল চামচ
  • পেস্তাবাদাম-২ টেবিল চামচ
  • কাঠবাদাম- ১ টেবিল চামচ
  • ঘি- ২ টেবিল চামচ

কীভাবে তৈরি করবেন ক্যারামেল ক্ষীর?

১) প্রথমে একটি বাটিতে চাল নিয়ে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২) ব্লেন্ডারে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে ৩-৪ সেকেন্ডের জন্য ব্লেন্ড করে নিন। খেয়াল রাখুন যেন চাল একদম ফাইন পেস্ট না হয়ে যায়, চেষ্টা করুন চালগুলো যেন কিছুটা আস্ত থাকে।

৩) একটি নন স্টিক সসপ্যান বা মোটা তলানিযুক্ত পাত্রতে দুধ দিয়ে মিডিয়াম হিটে নাড়তে থাকুন।

৪) দুধে বলক চলে আসার পর আরো ৫ মিনিট নেড়ে ব্লেন্ড করে রাখা চাল দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।

৫) একইসময় অন্য একটি প্যানে ঘি গরম করে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ২-৩ মিনিট লো টু মিডিয়াম হিটে ভেজে নিন। এবার বাদামগুলো অন্য একটি পাত্রে সরিয়ে রাখুন।

৬) তারপর ওই একই প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চিনি অ্যাড করুন এবং চিনি ক্যারামেলাইজড হয়ে গোল্ডেন ব্রাউন কালার হয়ে গেলে তা রান্না করা ক্ষীরের সাথে মিশিয়ে নিন। এ সময় একদম লো হিটে ক্রমাগত নাড়তে হবে যেন ক্যারামেল জমে দলা পাকিয়ে না যায়।

৭) ক্ষীরের সাথে ক্যারামেল ভালোভাবে মিশে গেলে এবং ক্ষীর ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিন।

৮) পরিবেশন করার সময় উপর থেকে ভেজে রাখা বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন এবং ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে উপভোগ করুন।

খুব সহজেই কীভাবে ক্যারামেল ক্ষীর বানিয়ে নিতে পারেন, তা তো জেনে নিলেন। দারুণ মজার এই ডেজার্টটি টেবিলে থাকলে তা অবশ্যই সবার ভালো লাগবে। তাই এবারের ঈদে এই ডিশটি ট্রাই করতে ভুলবেন না।

Main-1-1-830x511

ব্লাশ ট্রেন্ড | পারফেক্ট লুকের জন্য ব্লাশের কোন শেইড সিলেক্ট করবেন?

বলা যায়, ২০২২ সালে এসেই হেভি ফাউন্ডেশন ও কনট্যুর এর ট্রেন্ড বদলে যেতে শুরু করলো। এই বছরে তো পুরোদমেই হেভি মেকআপ লুকের জায়গা দখল করে নিয়েছে সফট ডিউয়ি ফ্রেশ লুক। ন্যাচারাল স্কিন টেক্সচার ঠিক রেখে ‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুকেরই ট্রেন্ড চলছে। রেড কার্পেটের সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে বিয়ের কনে, সবাই প্রিফার করছে সফট বা নিউট্রাল লুক। বলিউড সেলিব্রেটিদের বিয়ের আসরে সফট পিংক টোনের ব্রাইডাল মেকআপের প্রশংসা সবার মুখে মুখে। রোজি পিংক ব্লাশ পুরো মেকআপ লুককেই যেন ফুটিয়ে তুলেছে। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন ব্লাশ ট্রেন্ড এর আদ্যোপান্ত।

ব্লাশ কেন অ্যাপ্লাই করবেন?

১) ফ্রেশ ও নিউট্রাল লুক সবাই প্রিফার করে। ডেইলি লাইফের স্ট্রেস, পল্যুশন, টায়ার্ডনেস এসব কিছুর কারণে অনেক সময়ই ফেইস মলিন দেখায়। এক্ষেত্রে একটুখানি ব্লাশ হতে পারে গেইম চেঞ্জার! মেকআপের মাধ্যমে ন্যাচারাল লুক ফুটিয়ে তুলতে অ্যাপ্লাই করুন পিংকিশ বা হালকা শেইডের ব্লাশ।

২) লিকুইড কিংবা ক্রিমি টেক্সচারের ব্লাশ মেকআপ লুকে স্মুথ আর ফ্ললেস ফিনিশ দেয়। ব্লাশ আপনার টোটাল লুককে কমপ্লিট করে, সেটা হোক পার্টি মেকওভার বা রেগুলার মেকআপ লুক।

ন্যাচারাল লুক

কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন?

শার্প ও লিফটেড লুক এখন ট্রেন্ডি। তাই প্রথাগতভাবে চিকে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করা হলেও এখন চিকবোনের উপরে টেনে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করা হয়, যাতে পুরো লুকটাই লিফটেড মনে হয়। তাই এখন জাস্ট মেকআপ ব্রাশে একটু ব্লাশ নিয়ে ফেইসে ডাস্টিং না করাটাই হবে সময়ের উপযোগী। তবে আপনি যদি কে-ড্রামা বা কোরিয়ান পপ কালচারের ভক্ত হোন, তাহলে সেটা ভিন্ন কথা! রেগুলার লুকের ক্ষেত্রে ক্রিম বেইজড ব্লাশ ফিঙ্গার টিপসের সাহায্যে চিকে ব্লেন্ড করতে পারেন। এতে সফট ন্যাচারাল লুক পাওয়া যায় ইনস্ট্যান্টলি। খেয়াল রাখুন ব্লেন্ডিং যাতে স্মুথ ও পারফেক্ট হয়।

ব্লাশ ট্রেন্ড

ব্লাশ সাধারণত ৩ ধরনের হয়-

  • লিকুইড
  • ক্রিম
  • পাউডার

লিকুইড ব্লাশ

একটা সময় ক্রিম ব্লাশ এর প্রচলন বেশি হলেও পরবর্তীতে পাউডার ব্লাশ মোটামুটি একচেটিয়া বাজার দখল করে! তবে ২০২০ সালে আসে বেশ বড়সড় পরিবর্তন। বিশ্বখ্যাত গায়িকা সেলেনা গোমেজ তার বিউটি ব্র্যান্ড রেয়ার বিউটি লঞ্চ করেন। তার নিজের মেকআপ আইডিয়া বা ফিলোসফি যা সফট ডিউয়ি সুইট বলে পরিচিত সেটার সাথেই সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। রেয়ার বিউটির লিকুইড ব্লাশ খুব অল্প সময়েই পপুলারিটি পায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। হাইলি পিগমেন্টেড এবং স্কিনের সাথে সহজে মিশে একদম ন্যাচারাল লুক দেয় বলে লিকুইড ব্লাশ জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের লিকুইড ব্লাশের বিক্রিও বাড়ে। এভাবেই লিকুইড ব্লাশ পপুলার হয়ে ওঠে।

ড্রাই স্কিনে ডিউয়ি লুক ক্রিয়েট করতে সিলেক্ট করুন লিকুইড ব্লাশ। এটি ইজি টু অ্যাপ্লাই ফর্মুলা অর্থাৎ সহজেই অ্যাপ্লাই করা যায়। ব্রাশ, পাফ এমনকি স্রেফ আঙুল দিয়েও খুব সুন্দরভাবে অ্যাপ্লাই করা যায় লিকুইড ব্লাশ।

ব্লাশ ট্রেন্ড

ক্রিম ব্লাশ

কে-পপ কালচার জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরুর পর থেকে কোরিয়ান বিউটি প্রোডাক্টেরও বিশ্বব্যাপী চাহিদা বাড়ে। কোরিয়ান ইন্সপায়ার্ড মেকআপ লুকে ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করা হয় সাধারণত। ক্রিম ব্লাশ স্কিনে স্মুথ আর সফট ফিনিশ দেয়। তবে এটি অ্যাপ্লাইয়ের সময় অনেকেই পরিমাণ না বুঝে বেশি নিয়ে নেন, এতে ব্লেন্ডিং হয় না ঠিকঠাক। ব্লেন্ডিং ঠিকমতো করতে না পারলে প্রোডাক্ট ভেসে ভেসে থাকে এবং এতে লুক আর্টিফিশিয়াল দেখায়। অনেক ব্র্যান্ড মাল্টিপারপাস ক্রিম ব্লাশ বাজারজাত করে। এগুলো লিপ টিন্ট বা লিপবামেরও কাজ করে। অনেকে ক্রিমি আইশ্যাডোর বিকল্প হিসেবেও ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করেন। ভ্রমণের সময় আলাদা আলাদা অনেকগুলো প্রোডাক্ট নেয়ার ঝক্কি এড়াতে তাই ক্রিম ব্লাশ বেছে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

পাউডার ব্লাশ 

পাউডার ফর্মের ব্লাশ দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত। অয়েলি স্কিনে ম্যাট ফিনিশ দিতে এই ব্লাশ ভালো কাজ করে। আমাদের মতো গরম আবহাওয়ার দেশে মেকআপ ক্রিজ করা বা সেপারেট হয়ে যাওয়া বেশ কমন প্রবলেম। তাই ক্রিমি প্রোডাক্টের পরিবর্তে পাউডার বেইজড প্রোডাক্ট সাজেস্ট করা হয়। তাই যাদের স্কিন অয়েলি, তারা রেগুলার বেসিসে পাউডার ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ব্লাশ অবশ্যই বড় পাউডার ব্রাশ দিয়েই অ্যাপ্লাই করা উচিত।

পাউডার ব্লাশ

কোন শেইডের ব্লাশ বেছে নিবো?

যেহেতু এই সিজনে সফট ‘নো মেকআপ’ মেকআপ লুক বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, তাই এমন ব্লাশ শেইড বেছে নেওয়া উচিত যাতে ফেইস প্রাণবন্ত দেখায়। পিচ, কোরাল, অরেঞ্জ, বেবি পিংক, বাবলগাম পিংক – এই শেইডগুলো এখন বেশ ট্রেন্ডি। আপনার স্কিনটোন অপেক্ষাকৃত ডার্ক হলে মভ, বেরি, প্লাম, ব্রাউনিশ পিংক এই শেইডগুলো ট্রাই করুন! ডাস্কি বিউটিদের জন্য ব্লাশের এই শেইডগুলো একদম মাস্ট হ্যাভ। ফেয়ার স্কিনটোনে সফট পিংক, লাইট অরেঞ্জ এগুলো বেশ সুন্দর মানিয়ে যায় এবং ন্যাচারাল লাগে।

ব্লাশ ট্রেন্ড এর আদ্যোপান্ত জেনে নিলেন! তাহলে আজ থেকেই আপনার মেকআপ রুটিনে জায়গা করে নিক ব্লাশ। ন্যাচারাল বিউটিকে এনহ্যান্স করতে স্কিনটোন বুঝে তারপর ব্লাশ শেইড পিক করুন। কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারলে যেকোনো শেইডই কিন্তু আপনাকে মানিয়ে যাবে। আজ এই পর্যন্তই! সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর, সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকে বেছে নিতে পারেন অথেনটিক প্রোডাক্টস আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন।

Untitled-design-39-830x511

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে।

লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়?

পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে।

লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের চুল সেটিকে অনেকক্ষণ ধরে রাখতে পারে। লো পোরোসিটি চুলকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে পারলে তা দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে এবং চুল হেলদি দেখায়। এ ধরনের চুল সহজে শুকাতে চায় না। চুল হেলদি দেখালেও চুলে বাউন্সি ভাব বা ভলিউম কম থাকে,যার ফলে চুল অনেকটা ফ্ল্যাট দেখায়।

হেয়ার পোরোসিটি বুঝবেন কীভাবে?

চুলের পোরোসিটি বুঝবেন কীভাবে?

চুলের পোরোসিটি বাসায় খুব সহজেই পরীক্ষা করা সম্ভব। সব থেকে প্রচলিত একটি পদ্ধতি হলো ওয়াটার টেস্ট। ঝরে পড়া একটি বা কয়েকটি পরিষ্কার চুল নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফেলতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে । কয়েক মিনিট পর যদি চুল একদম গ্লাসের নিচে চলে যায় বা তাড়াতাড়ি ডুবে যায়, তবে চুলের ধরন হাই পোরোসিটি। যদি চুলটি ডোবার কোনো লক্ষণ না দেখায় এবং গ্লাসের উপরে ভাসতে থাকে, তবে চুলের ধরন লো পোরোসিটি। যেহেতু লো পোরোসিটির চুলে ছিদ্র কম, তাই খুব সহজে এটি পানিতে ডুবেনা। আর যদি চুল আস্তে আস্তে ডুবে, তাহলে মিডিয়াম পোরোসিটি।

লো পোরোসিটি চুলে হেয়ার কেয়ার রুটিন কেমন হবে?

বাজারে বিভিন্ন ধরনের চুলের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট। চুলের পোরোসিটি অনুযায়ী প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে। এতে চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে লো পোরোসিটি চুলের যত্ন নিবেন-

হেয়ার অয়েল: তেল চুলে হাইড্রেশন ও ময়েশ্চারাইজেশন দেয়। তাই চুলে অবশ্যই তেল ব্যবহার করতে হবে। লো পোরোসিটির চুলে যেহেতু ছিদ্রের পরিমাণ কম, তাই একটু হেভি ওয়েটের তেল সহজে চুলে পেনেট্রেট করতে পারেনা এবং ময়েশ্চার প্রদান করতে পারেনা। তাই সবসময় লাইটওয়েট ও কম ঘনত্বের তেল ব্যবহার করুন। এ ধরনের চুলে মানানসই তেলগুলো হলো তিলের তেল, বাদাম তেল, কাঠবাদাম তেল, আর্গন অয়েল, বিভিন্ন প্ল্যান্ট ও ফ্লাওয়ার বেজড তেল, অ্যাভোক্যাডো তেল ইত্যাদি।

লো পোরোসিটি চুল এর শ্যাম্পু

শ্যাম্পু: শ্যাম্পু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং, হেভি কনসিসটেন্সি, স্মুথ টেক্সচার ইত্যাদি শ্যাম্পুগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের শ্যাম্পু গুলো তুলনামূলক বেশ ভারি হয়ে থাকে,যার ফলে চুলের উপর একটি ভারি লেয়ার ফেলে। যার ফলে চুল আরো বেশি ফ্ল্যাট মনে হয়। তাই লো পোরোসিটি চুলের জন্য সবসময় ভলিউমিনাইজিং, ডিপ ক্লিনিং শ্যাম্পু, ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু ও হালকা টেক্সচারের ক্লিয়ার শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করা উচিত।

কন্ডিশনার: চুলের যত্নে কন্ডিশনার স্কিপ করা যাবেনা। এক্ষেত্রে হাইড্রেশন দিবে এমন ধরনের কিছুটা হালকা টেক্সচারের কন্ডিশনার বাছাই করতে হবে। ভারি কন্ডিশনার চুলকে ফ্ল্যাট করে দিতে পারে। তাই হেভিওয়েট কন্ডিশনার স্কিপ করতে হবে।

ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক: কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছুটা লাইটওয়েট মাস্ক ব্যবহার করলেই ভালো। সপ্তাহে একদিন বা দশ দিনে একবার ব্যবহার করুন, এর বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কেউ চাইলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক স্কিপ করতে পারেন, যদি রেগুলার কন্ডিশনারই তার চুলের জন্য যথেষ্ট হয়।

সিরাম, লিভ ইন কন্ডিশনার,স্টাইলিং ক্রিমঃ চুলের যত্নে লাইটওয়েট হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। শাওয়ারের পর হালকা ভেজা চুলে হেয়ার সিরাম বা নন স্টিকি অয়েল ব্যবহারের ফলে চুলে হাইড্রেশন লক হবে, যা এ ধরনের চুল দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে থাকে। লিভ ইন কন্ডিশনারও অনেকটা এরকম।

লাইটওয়েট লিভ ইন কন্ডিশনার চুলে হাইড্রেশন ও ময়েশ্চারাইজেশন দিবে। লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে হাইড্রেশন লকের জন্য। স্টাইলিং ক্রিম যেহেতু বেশ কিছুটা ভারি হয়ে থাকে। তাই পরিমাণে খুবই অল্প ব্যবহার করতে হবে।

হিট স্টিম: চুলের যত্নে তেল অথবা হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর হিট স্টিম নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে সহজে চুলে ময়েশ্চার অ্যাবজর্ব হয়।

লো পোরোসিটি চুল পেতে এ অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন

গড়ে তুলুন এই অভ্যাসগুলো

দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস যেকোনো ধরনের চুলকে হেলদি রাখতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেই সে অভ্যাস গুলো সম্পর্কে।

১. চুল যত ভেজা থাকে ততই ড্যামেজ হয়। তাই গোসলের পর দ্রুত চুল শুকানোর চেস্টা করতে হবে।

২. অনেকেই চুল রোদে শুকাতে পছন্দ করেন। কিন্তু চুল রোদে শুকানো থেকে বিরত থাকতে হবে, কারন ইউভি রে চুল শুষ্ক ও ড্যামেজ করে দিতে পারে।

৩. হিট স্টাইলিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হিট প্রটেক্ট করে এমন হেয়ার সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

৪. ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

৫. মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন।

৬. চুল মুছতে পাতলা সুতি কাপড়, গামছা বা সুতির টি শার্ট ব্যবহার করুন।

চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে

৭. পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও পুষ্টিকর খাবার খান।

৮. তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।

৯. প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও বাদাম খান।

১০.শক্ত করে চুল না বেঁধে হালকা বেনি বা পনিটেইল ইত্যাদি স্টাইল বেছে নিন।

১১.খুব জোরে জোরে চুল ব্রাশ করবেন না। এতে চুলের কিউটিকল লেয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এটুকুই ছিলো লো পোরোসিটি চুল নিয়ে আজকের আলোচনা। সঠিক অভ্যাসগুলো মেনে চললে এবং লো পোরোসিটি চুলের জন্য মানানসই প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে খুব সহজেই হেলদি, সিল্কি ও শাইনি চুল পাওয়া সম্ভব। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

1-16-2-830x511

আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনকে আপগ্রেড করুন প্রিবায়োটিকের সাথে!

নকেয়ারে প্রিবায়োটিক একটি পরীক্ষিত ও কার্যকরী উপাদান হিসেবে পরিচিত। প্রিবায়োটিকের মাধ্যমে ত্বকের সারফেসে থাকা হেলদি ব্যাকটেরিয়াগুলো যেন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তা নিশ্চিত করা হয়। এতে করে স্কিন ব্যারিয়ার সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি স্কিনের পি এইচ লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদি আপনি আপনার স্কিনকেয়ার জার্নিতে অর্গানিক স্কিনকেয়ার ইনগ্রেডিয়েন্ট অ্যাড করতে চান, তাহলে প্রিবায়োটিক আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। আজকের ফিচারে থাকছে প্রিবায়োটিক কী এবং আমাদের ত্বকের জন্য এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রিবায়োটিক সম্পর্কে জানুন

প্রিবায়োটিক হলো বিশেষ এক ধরনের প্ল্যান্ট ফাইবার, যা আমাদের স্কিনে থাকা ভালো বা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর খাদ্য উৎস হিসেবে পরিচিত। এই উপাদানটির কাজ হলো স্কিনে থাকা মাইক্রোবায়োম যা স্কিন ব্যারিয়ারের একটি অংশ, সেটির হেলথ এবং নারিশমেন্ট মেনটেইন করা। প্রিবায়োটিক স্কিন ব্যারিয়ার রিস্টোর অথবা মেনটেইন করতে বিশেষ উপযোগী। তাছাড়াও স্কিন হেলদি ও ইয়ুথফুল রাখার জন্যও প্রিবায়োটিক একটি বেস্ট অপশন।

স্কিনকেয়ারে প্রিবায়োটিক কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের জন্য সব থেকে ভালো প্রিবায়োটিক উপাদানগুলো হলো জাইলিটোল, রেমনোস, গ্লুকোম্যানেন, ইনিউলিন ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো স্কিন ইরিটেশন কমায়, ইনফ্ল্যামেশন দূর করে এবং ক্ষতিকর ইউভি রেডিয়েশন থেকে স্কিনকে রক্ষা করে। স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ বডিওয়াশ এবং ফেইসওয়াশ ব্যবহার ক্লেনজিংয়ের পাশাপাশি স্কিনের ময়েশ্চার ও পি এইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া প্রিবায়োটিক ইনফিউজড সিরাম অ্যান্টি-এজিংয়ের কাজও করে।

স্কিনকেয়ারে প্রিবায়োটিক কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ত্বক আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় অর্গান। ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি মাইক্রোঅর্গানিজমকেই মাইক্রোবায়োম বলে। এটি আমাদের ত্বকের উপর একটি লেয়ার ক্রিয়েট করে। মজার বিষয় হলো, আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের মাইক্রোবায়োম ভিন্ন ভিন্ন। অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের সারফেসে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোও ভিন্ন ভিন্ন।

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, তাহলে কি ভিন্ন ভিন্ন মাইক্রোবায়োমের প্রোপার কেয়ারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন হবে? এখানেই মূলত প্রিবায়োটিক একটি ইউনিভার্সাল চ্যাম্প! সবার স্কিনের মাইক্রোবায়োম টাইপ ভিন্ন হলেও প্রিবায়োটিক একটি ইউনিভার্সাল সাপোর্ট সিস্টেমের মতো কাজ করে। এটি ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। সেই সাথে ড্রাইনেস কমিয়ে ত্বককে করে প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল।

প্রিবায়োটিকের আছে দারুণ কিছু স্কিন বেনিফিটস

প্রিবায়োটিকের কিছু স্কিন বেনিফিটস

এখন আমরা জেনে নিবো প্রিবায়োটিকের কিছু স্কিন বেনিফিটস নিয়ে।

স্কিন ব্যারিয়ার প্রোটেক্টর

স্কিন হুট করে অনেক সেনসিটিভ হয়ে গিয়েছে, রোদে গেলে খুব বেশি রিয়্যাক্ট করছে অথবা কোনো মাইল্ড প্রোডাক্ট ব্যবহারেও ভীষণ ব্রেকআউট হচ্ছে। ঠিক এরকমটাই যদি হয়ে থাকে আপনার স্কিন কন্ডিশন, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার স্কিন ব্যারিয়ার দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এখন আপনাকে ঝুঁকতে হবে প্রিবায়োটিক স্কিনকেয়ারের প্রতি। কেন জানেন? কারণ স্কিনকেয়ারে প্রিবায়োটিক এর কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজটি হলো স্কিন ব্যারিয়ারকে রক্ষা করা। প্রিবায়োটিক স্কিনের ব্যারিয়ার শক্তিশালী করে তোলে। এর ফলে স্কিনের সারফেসে শক্তিশালী শিল্ড তৈরি হয়, যা ইউভি ড্যামেজ থেকে শুরু করে সবরকম স্কিন পল্যুশন থেকে আমাদের স্কিনকে সার্বিকভাবে রক্ষা করে।

একনে ব্রেকআউট কন্ট্রোলার

একনে মূলত আমাদের স্কিনে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। যদি আপনার স্কিন অনেক বেশি একনেপ্রন হয়ে থাকে, তাহলে প্রিবায়োটিক আপনার জন্য অল টাইম সেভিয়ার হয়ে উঠবে। কেননা, প্রিবায়োটিকে আছে এমন কিছু প্রোপার্টিজ যা স্কিন ইনফ্ল্যামেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং স্কিনে একনে ব্রেকআউটের ঝুঁকি কমায়।

ত্বকের যত্নে প্রিবায়োটিক
স্কিনের হাইড্রেশন এজেন্ট

স্কিন ড্রাই হয়ে থাকলে কিন্তু আমাদের মোটেই ভালো লাগে না তাইনা? তাছাড়াও ড্রাই স্কিনে মেকআপ করাটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রিবায়োটিকে আছে ময়েশ্চার রিটেইনিং ফর্মুলা, যা আমাদের স্কিনের মাইক্রোবায়োমকে হেলদি ও প্রোপারলি হাইড্রেটেড রেখে স্মুথ স্কিন পেতে হেল্প করে।

ইয়াংগার লুকিং স্কিন

রেডিয়্যান্ট ও ইয়ুথফুল স্কিন কে না চায়? বয়স যতই বাড়ুক না কেন, আমরা চাই আমাদের স্কিন যেন সবসময় হেলদি ও গ্লোয়িং থাকে। প্রিবায়োটিকের এই ক্ষমতাও বেশ প্রখর! কীভাবে? প্রিবায়োটিক আমাদের স্কিনের পেপটাইড প্রোডাকশনের সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। এই পেপটাইড স্কিনের সারফেসকে হেলদি লুকিং রাখে। এছাড়াও এটি স্কিনের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্কিনে ফাইন লাইনস ও রিংকেলস ভিজিবল হওয়াও প্রিভেন্ট করে।

স্কিন প্যাসিফাইয়ার

স্কিনের পি এইচ ব্যালেন্স যখন ঠিক থাকেনা, তখন আমাদের স্কিন প্রচুর সেনসিটিভ হয়ে পড়ে। যার ফলে স্কিনে রেডনেস, ইরিটেশন অথবা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। প্রিবায়োটিক এক্ষেত্রে স্কিনের প্যাসিফাইয়ার হিসেবে কাজ করে স্কিনের সেনসিটিভিটি প্রিভেন্ট করে। বিশেষ করে সুগার ড্রাইভড প্রিবায়োটিকে রয়েছে স্কিন সুদেনিং প্রোপার্টিজ, যা আমাদের স্কিনের ইরিটেশন কমাতে খুবই কার্যকরী।

প্রিবায়োটিক সব স্কিন টাইপে ব্যবহার করা যায়
স্কিনের মাইক্রোবায়োম রিস্টোরার

স্কিনে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের বিভিন্ন স্কিন ইস্যুজ , যেমন, একজিমা, একনে ইত্যাদির জন্য দায়ী। এই ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার বিস্তার তখনই হয় যখন স্কিনের মাইক্রোবায়োম ইমব্যালেন্সড হয়ে যায়। প্রিবায়োটিক মূলত স্কিন মাইক্রোবায়োম রিস্টোরেশনে কাজ করে, যাতে করে স্কিনের জন্য বেনিফিশিয়াল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় এবং মাইক্রোবায়োমের ব্যালেন্স ফিরে আসে। আর আমরা পাই হেলদি স্কিন।

এটুকুই ছিলো স্কিনকেয়ারে প্রিবায়োটিক নিয়ে আজকের আলোচনা। হেলদি স্কিন আমাদের সবার একটি সার্বজনীন চাওয়া। যার জন্য স্কিনের প্রোপার কেয়ার অত্যন্ত জরুরি। প্রিবায়োটিক ব্যবহার আমাদের ড্যামেজ রিপেয়ারের পাশাপাশি আমাদের স্কিনের জন্য লাইফটাইম ইনভেস্টমেন্টের মতোই কাজ করে। যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

Tehmaz-830x511

কেমন হতে পারে এবারের ঈদের ট্রেন্ডি মেকআপ?

বছর ঘুরে আবার ঈদ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই ঈদকে ঘিরে চলছে সবার নানা রকম প্রস্তুতি। ঈদের দিনকে সুন্দর করে তুলতে পোশাক ও জুয়েলারির সাথে চাই মানানসই মেকআপ। মেকআপ এমন একটি আর্ট যা আমাদের ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট করতে হেল্প করে। একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, গত কয়েক বছর ধরে মেকআপ ট্রেন্ডে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আজকের ফিচারে থাকছে এবারের ঈদের ট্রেন্ডি মেকআপ কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

মিনিমাল মেকআপ লুক

মেকআপের জগতে খুব পরিচিত একটি টার্ম হচ্ছে ” মিনিমাল” মেকআপ ৷ একসময় সবাই মনে করতেন, যত বেশি মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হবে, দেখতে তত সুন্দর লাগবে। কিন্তু বর্তমানে এই ধারণা থেকে সবাই বের হয়ে আসছেন। এখন সবাই মিনিমাল মেকআপ লুকই বেশি পছন্দ করছেন। এই ধরনের লুকে একটি কমপ্লিট মেকআপের যতগুলো ধাপ রয়েছে সেগুলোর সবই করা হয়ে থাকে, তবে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় একদম অল্প পরিমাণে। যেমনঃ অনেকে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে শুধুমাত্র কনসিলার দিয়ে মুখের দাগ ও পিগমেন্টেশন ঢেকে একটু ব্লাশ অ্যাপ্লাই করেই বেইজ মেকআপ কমপ্লিট করে ফেলে। এ বছরের ঈদের দিন যেহেতু অনেক গরম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই ট্রাই করতে পারেন মিনিমাল মেকআপ লুক।

গ্লোয়িং মেকআপ লুক

গ্লসি মেকআপ লুক

গ্লসি মেকআপ লুক এখন বেশ ট্রেন্ডি। এ ধরনের লুকে ফেইসে একটা গ্লো আসে বলে সবাই এটি পছন্দ করেন। ঈদের সকালের জন্য এই ধরনের লুক একদম পারফেক্ট। গ্লসি মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে ফাউন্ডেশনের সাথে মিক্স করে ইল্যুমিনেটর ব্যবহার করতে পারেন, আবার লিকুইড হাইলাইটারও বেছে নেওয়া যেতে পারে। সেই সাথে মেকআপে গ্লসি ভাব নিয়ে আসার জন্য অনেকেই এখন ব্যবহার করছেন লিপগ্লস। লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক ট্রেন্ডে অনেকদিন রাজত্ব করলেও এখন লিপগ্লস সবার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের শেইপ ড্র করে তার উপর লিপগ্লসের ব্যবহার এখন আছে মেকআপ ট্রেন্ডের টপলিস্টে।

কাজল দিয়ে আইলুক

৮০ বা ৯০ দশকের নারীদের ছবি দেখলে বোঝা যায়, তাদের ফেইসে তেমন কোনো মেকআপ না থাকলেও চোখ জুড়ে থাকতো মোটা করে কাজল। সেই ট্রেন্ড এত বছর পর আবার ফিরে এসেছে। আইলাইনার ব্যবহার না করে অনেকেই চোখের নিচে মোটা করে কাজল দেওয়া প্রিফার করছেন। আবার আইলিডে কাজল দিয়ে ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে স্ম্যাজ করে স্মোকি আইলুকও রয়েছে এখন অনেকের পছন্দের তালিকায়।

লাইট শেইডের আইশ্যাডো ও ব্লাশ এখন বেশ ট্রেন্ডি

লাইট শেইডের আইশ্যাডো ও ব্লাশ

ব্লাশ হোক কিংবা আইশ্যাডো- এখন বেশিরভাগ মানুষই লাইট শেইড পছন্দ করছেন। আইশ্যাডোর ক্ষেত্রে ব্রাউনিশ কিংবা পিচ টোনের শেইডগুলো যেকোনো ধরনের পোশাকের সাথে মানিয়ে যায়। অন্যদিকে ব্লাশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় লাইট পিংক বা পিচ শেইড, যাতে মেকআপ ন্যাচারাল থাকে। চাইলে মনোক্রোমাটিক মেকআপ লুকের জন্য একই শেইডের আইশ্যাডো ও ব্লাশ অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

ন্যাচারাল আইব্রো

ড্রামাটিক আইব্রো আগেকার সময়ে বেশ পপুলার হলেও এখন কিন্তু ট্রেন্ডে আছে ন্যাচারাল আইব্রো। অনেকেই এখন আইব্রো পেন্সিল ব্যবহার না করে আইব্রো সেট করছেন আইব্রো জেলের সাহায্যে। আসলে আইব্রো পেন্সিল দিয়ে আইব্রো ড্র করতে গেলে অনেক সময় সঠিক পদ্ধতির না জানার ফলে ফেইসের ন্যাচারাল ভাব থাকে না। তাই ন্যাচারাল মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে আইব্রো জেলই সহজ সমাধান।

ঈদের ট্রেন্ডি মেকআপ লুক

ডার্ক লিপস্টিক

যতই ন্যুড মেকআপের ট্রেন্ড থাকুক না কেন, ডার্ক লিপস্টিক সবসময়ই ট্রেন্ডে থাকবে। লাল কিংবা মেরুনের মতো ডার্ক শেইডের একটি লিপস্টিক আপনার পুরো লুক চেঞ্জ করে দিতে পারে। তাই ঈদের দিন হালকা মেকআপ করলেও ডার্ক লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, ঈদের পোশাক খুব বেশি গর্জিয়াস হলে ন্যুড শেইডের লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন৷

আশা করছি আপনারা বুঝতে পারছেন, এবারের ঈদে মেকআপের কোন ট্রেন্ডগুলো বেশি পপুলার থাকবে। পরিশেষে বলতে চাই, ট্রেন্ড ফলো করে পারফেক্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে চাইলে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে নিজের স্কিন কেয়ারে। কারণ যদি আপনার স্কিন হেলদি হয়, তাহলে যেভাবেই সাজুন না কেন, দেখতে সুন্দর লাগবে। ও হ্যাঁ, নিজের ডায়েট ও লাইফস্টাইল হতে হবে সঠিক। যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।